চার্লসটন, দক্ষিণ ক্যারোলিনায় এক অদ্ভুত এবং ভয়াবহ কাণ্ডের সাক্ষী থাকল দক্ষিণ ক্যারোলিনার চার্লসটন শহর। ২৫ বছর বয়সী এক যুবক তাঁর প্রাক্তন প্রেমিকার বাড়িতে নগ্ন অবস্থায়, মুখে অন্তর্বাস মাস্কের মতো পরে লুকিয়ে ছিলেন।
প্রেমিকার দাবি, সম্পর্ক ঠিক করার নামে এমন 'দুষ্টুমি' করেছেন অভিযুক্ত। এই ঘটনায় জ্যাকসন আর্নল্ড নামের ওই যুবকের বিরুদ্ধে গুরুতর ধারায় মামলা দায়ের করা হয়েছে।
আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম সূত্রে জানা গিয়েছে, গত ২৯ সেপ্টেম্বর চার্লসটন কাউন্টিতে আর্নল্ডের বিরুদ্ধে মামলাটি দায়ের করেন তাঁর প্রাক্তন প্রেমিকা। অভিযোগে বলা হয়েছে, আর্নল্ডের এই আচরণ ছিল 'চরম আপত্তিকর' এবং 'সভ্য সমাজে অগ্রহণযোগ্য'। এই ঘটনায় তিনি মানসিকভাবে বিধ্বস্ত হয়ে পড়েছেন বলেও জানিয়েছেন।
আদালতের পাঁচ পাতার অভিযোগপত্রে ঘটনার বিস্তারিত বিবরণ দেওয়া হয়েছে। সেখানে বলা হয়েছে, ঘটনাটি ঘটেছিল চলতি বছরের ২ মে সন্ধ্যায়। সম্প্রতি আর্নল্ডের সঙ্গে ওই তরুণীর সম্পর্ক ভেঙে যায়। ঘটনার দিন তরুণী বন্ধুদের সঙ্গে বাইরে গিয়েছিলেন। সেই সুযোগে আর্নল্ড তাঁর বাড়িতে ঢুকে পড়েন।
অভিযোগপত্র থেকে আরও জানা যায়, সম্পর্ক ভাঙার পর থেকেই আর্নল্ড ওই তরুণীর প্রতি অত্যন্ত 'আসক্ত' হয়ে পড়েছিলেন। এমনকি, তরুণী যেখানে শিশুদের দেখাশোনার কাজ করতেন, সেখানেও একাধিকবার উপস্থিত হতেন তিনি।
ঘটনার দিন সন্ধ্যায় তরুণী বাড়িতে ফিরে পোশাক পরিবর্তনের জন্য নিজের ঘরে যান। সেই সময় তিনি লক্ষ্য করেন, আর্নল্ড বাথরুম থেকে বেরিয়ে আসছেন। তাঁর মুখ ঢাকা ছিল তরুণীরই অন্তর্বাসে এবং তিনি সম্পূর্ণ নগ্ন ছিলেন। শুধু তাই নয়, তাঁর হাতে একটি বড় ছুরিও ছিল বলে অভিযোগ।
তরুণীর বয়ান অনুযায়ী, আর্নল্ড ছুরি হাতে দ্রুত তাঁর দিকে এগিয়ে আসেন। তিনি কোনওরকমে আর্নল্ডের হাত থেকে ছুরিটি কেড়ে নিতে সক্ষম হন। এরপর তাঁদের মধ্যে ধস্তাধস্তি শুরু হয়। এক পর্যায়ে আর্নল্ড তাঁর গলা টিপে ধরে শ্বাসরোধ করার চেষ্টা করেন। তরুণী যখন অভিযুক্তের মুখ থেকে অন্তর্বাসের মাস্কটি সরিয়ে তাঁকে চিনতে পারেন, তখন আর্নল্ড আক্রমণ থামান।
এই অদ্ভুত আচরণের কারণ জানতে চাইলে আর্নল্ড অসংলগ্ন কথাবার্তা বলতে শুরু করেন। ভয় পেয়ে তরুণী তৎক্ষণাৎ তাঁর বাবা-মায়ের বাড়িতে চলে যান এবং পুলিশকে খবর দেন। পুলিশ এসে অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করে। আর্নল্ডের গ্রেপ্তারি রিপোর্ট অনুযায়ী, তিনি দাবি করেছেন, সম্পর্ক পুনঃস্থাপনের জন্য কথা শুরু করার একটি 'মজা' হিসেবে তিনি এই কাণ্ড ঘটিয়েছেন।
বর্তমানে আর্নল্ডের বিরুদ্ধে গুরুতর হামলা ও মারধর, বাড়িতে চুরি এবং হিংসাত্মক অপরাধের সময় অস্ত্র ব্যবহারের মতো গুরুতর অভিযোগ আনা হয়েছে। আইন অনুযায়ী তাঁর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
প্রেমিকার দাবি, সম্পর্ক ঠিক করার নামে এমন 'দুষ্টুমি' করেছেন অভিযুক্ত। এই ঘটনায় জ্যাকসন আর্নল্ড নামের ওই যুবকের বিরুদ্ধে গুরুতর ধারায় মামলা দায়ের করা হয়েছে।
আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম সূত্রে জানা গিয়েছে, গত ২৯ সেপ্টেম্বর চার্লসটন কাউন্টিতে আর্নল্ডের বিরুদ্ধে মামলাটি দায়ের করেন তাঁর প্রাক্তন প্রেমিকা। অভিযোগে বলা হয়েছে, আর্নল্ডের এই আচরণ ছিল 'চরম আপত্তিকর' এবং 'সভ্য সমাজে অগ্রহণযোগ্য'। এই ঘটনায় তিনি মানসিকভাবে বিধ্বস্ত হয়ে পড়েছেন বলেও জানিয়েছেন।
আদালতের পাঁচ পাতার অভিযোগপত্রে ঘটনার বিস্তারিত বিবরণ দেওয়া হয়েছে। সেখানে বলা হয়েছে, ঘটনাটি ঘটেছিল চলতি বছরের ২ মে সন্ধ্যায়। সম্প্রতি আর্নল্ডের সঙ্গে ওই তরুণীর সম্পর্ক ভেঙে যায়। ঘটনার দিন তরুণী বন্ধুদের সঙ্গে বাইরে গিয়েছিলেন। সেই সুযোগে আর্নল্ড তাঁর বাড়িতে ঢুকে পড়েন।
অভিযোগপত্র থেকে আরও জানা যায়, সম্পর্ক ভাঙার পর থেকেই আর্নল্ড ওই তরুণীর প্রতি অত্যন্ত 'আসক্ত' হয়ে পড়েছিলেন। এমনকি, তরুণী যেখানে শিশুদের দেখাশোনার কাজ করতেন, সেখানেও একাধিকবার উপস্থিত হতেন তিনি।
ঘটনার দিন সন্ধ্যায় তরুণী বাড়িতে ফিরে পোশাক পরিবর্তনের জন্য নিজের ঘরে যান। সেই সময় তিনি লক্ষ্য করেন, আর্নল্ড বাথরুম থেকে বেরিয়ে আসছেন। তাঁর মুখ ঢাকা ছিল তরুণীরই অন্তর্বাসে এবং তিনি সম্পূর্ণ নগ্ন ছিলেন। শুধু তাই নয়, তাঁর হাতে একটি বড় ছুরিও ছিল বলে অভিযোগ।
তরুণীর বয়ান অনুযায়ী, আর্নল্ড ছুরি হাতে দ্রুত তাঁর দিকে এগিয়ে আসেন। তিনি কোনওরকমে আর্নল্ডের হাত থেকে ছুরিটি কেড়ে নিতে সক্ষম হন। এরপর তাঁদের মধ্যে ধস্তাধস্তি শুরু হয়। এক পর্যায়ে আর্নল্ড তাঁর গলা টিপে ধরে শ্বাসরোধ করার চেষ্টা করেন। তরুণী যখন অভিযুক্তের মুখ থেকে অন্তর্বাসের মাস্কটি সরিয়ে তাঁকে চিনতে পারেন, তখন আর্নল্ড আক্রমণ থামান।
এই অদ্ভুত আচরণের কারণ জানতে চাইলে আর্নল্ড অসংলগ্ন কথাবার্তা বলতে শুরু করেন। ভয় পেয়ে তরুণী তৎক্ষণাৎ তাঁর বাবা-মায়ের বাড়িতে চলে যান এবং পুলিশকে খবর দেন। পুলিশ এসে অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করে। আর্নল্ডের গ্রেপ্তারি রিপোর্ট অনুযায়ী, তিনি দাবি করেছেন, সম্পর্ক পুনঃস্থাপনের জন্য কথা শুরু করার একটি 'মজা' হিসেবে তিনি এই কাণ্ড ঘটিয়েছেন।
বর্তমানে আর্নল্ডের বিরুদ্ধে গুরুতর হামলা ও মারধর, বাড়িতে চুরি এবং হিংসাত্মক অপরাধের সময় অস্ত্র ব্যবহারের মতো গুরুতর অভিযোগ আনা হয়েছে। আইন অনুযায়ী তাঁর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানিয়েছে পুলিশ।